Header Ads

মনোরোগের শ্রেণীবিভাগ | মনোরোগের শ্রেণীবিন্যাস | মনোবৈকল্যের শ্রেণীবিভাগ | মনোবৈকল্যের শ্রেণীবিন্যাস Classification of psychosis | Classification of Abnormal Behavior | Classification of Mental Disorder

মানসিক রোগের শ্রেণীবিভাগ: (Classification of Mental Disorder)
বা
মানসিক রোগের শ্রেণীবিন্যাস
বা
মনোবৈকল্যের শ্রেণীবিভাগ
বা
মনোবৈকল্যের শ্রেণীবিন্যাস



যে কোন জ্ঞানের শাখার ক্ষেত্রেই বৈজ্ঞানিক তথ্যানুসন্ধানের প্রথম ধাপই হচ্ছে অত্র শাখার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোকে সুশৃঙ্খলভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা। এই শ্রেণীকরণের মাধ্যমেই সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পৃথক ও শনাক্ত করা যায় এবং কোন বিশেষ বিষয়ের অনুসন্ধান অধিকতর সুনির্দিষ্ট ও সুনিয়ন্ত্রিত হয়। শ্রেণীবদ্ধকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়গুলো পৃথক করা ও শনাক্ত করা যায় বলেই বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্যাবলীর বিনিময় সহজ হয়।

বহু প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন মানসিক রোগ শনাক্ত করা ও শ্রেণীবদ্ধ করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল। খৃষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে হিপোক্র্যাটস মনোবৈকল্যের/মনোরোগের শ্রেণীবিভাগ করেছেন। পরবর্তীকালেও বহু বিজ্ঞানী মানসিক রোগের শ্রেণীবিন্যাসের প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তবে মানসিক রোগের শ্রেনীবিন্যাসে জার্মান মনোবিজ্ঞানী এমিল ক্র্যাপলিনের শ্রেণীবিন্যাসকেই তুলনামূলক বিজ্ঞান সম্মত বলে মনে করা হয়।

মনোরোগের/মানসিক রোগের শ্রেণীবিন্যাস করার কাজটি অবশ্য বেশ জটিল ও দুরূহ। ফলে বিভিন্ন বিজ্ঞানীগন বিভিন্নভাবে এই শ্রেণীবিন্যাস প্রণয়ন করেন। এমন কি বিশেষ কোন মনোরোগের ধারণার ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের এরূপ মতৈক্যের অভাব মনোরোগ সংক্রান্ত জ্ঞান অন্বেষণে বিঘ্নতা সৃষ্টি করেছে।


এই ধরনের অসুবিধা দুর করার জন্য আমেরিকান মনোচিকিৎসাবিদ সমিতি (American Psychiatric Association সংক্ষিপ্ত রূপ-APA) ১৯৫২ সালে একটি সমন্বিত শ্রেণীবিন্যাস প্রবর্তন করে। APA কর্তৃক প্রদত্ত এই শ্রেণীবিন্যাস অবশ্য নতুন প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিনিয়ত পরিশোধিত ও পরিবর্তিত হচ্ছে।


১। ১৯৫২ সালে APA প্রদত্ত প্রথম মানসিক রোগগুলোর শ্রেণীবিভাগকে "Diagnostic and Statistical Manual-Mental Disorder" বা সংক্ষেপে DSM নামে আখ্যায়িত করে। আমেরিকান সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংগৃহীত মনোরোগ সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই DSM শ্রেণীবিভাগটি করা হয়।

২। ১৯৬৮ সালে APA বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ করে DSM-II প্রবর্তন করে।

৩। APA ১৯৭৯ সালে DSM-II সংশোধন করে DSM-III প্রবর্তন করে। এই শ্রেণীবিভাগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়। এই শ্রেণীবিভাগে মনোরোগগুলোকে নতুনভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে অনেক পুরাতন মনোরোগকে নতুন নামকরণ করা হয়েছে এবং কিছু কিছু নতুন রোগ অত্র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

৪। ১৯৮৭ সালে APA DSM-III কে পুনরায় সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধিত তালিকাটিকে DSM-IIIRevised নামে আখ্যায়িত করা হয়। যাকে সংক্ষেপে DSM-IIIR বলা হয়।

৫। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation or WHO) সমস্ত বিশ্ব ব্যাপী পরিদৃষ্ট যেসকল রোগ ব্যাধি রয়েছে তার একটি তালিকা করেছে, সেটাকে ICD (International Classification of Disease বা রোগের আন্তর্জাতিক শ্রেণীবিভাগ) নামে আখ্যায়িত করা হয়। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের প্রণীত তালিকাটিকে মাঝে মাঝে সংশোধন ও পরিবর্তন করে উপস্থাপন করে। উল্লেখ্য যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত রোগের তালিকাতে মনোরোগ সংক্রান্ত একটি উপবিভাগ থাকে। তৎকালীন সময়ে রোগের আন্তর্জাতিক তালিকা ICD তে অন্তর্ভুক্ত মনোরোগ সংক্রান্ত উপবিভাগ ও APA প্রদত্ত মনোরোগের শ্রেণীবিভাগের মধ্যে বেশ কিছু গরমিল দেখা যায়। সেকারণে APA ১৯৯৪ সালে ICD-10 এর প্রেক্ষিতে DSM-IIIR শ্রেণীবিন্যাসটি পুনরায় সংশোধন করে DSM-IV নামে পরিচিত শ্রেণীবিন্যাসটি প্রবর্তন করে।

৬। অতঃপর ২০০০ সালে APA পুনরায় DSM-IV কে সংশোধন করে DSM-IV-Test Revised (সংক্ষিপ্ত রূপ-DSM-IV-TR) নামে শ্রেণীবিভাগটি প্রবর্তন করে।

DSM-IV-TR এর বৈশিষ্ট্য:

DSM-III প্রবর্তনের সময় থেকেই মনোরোগের শ্রেণীবিন্যাসে বেশ কিছুৎ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। ফলে মনোরোগ সম্পর্কিত চিরাচরিত ধ্যান ধারণায় বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটেছে এবং মনোরোগের শ্রেণীবিভাগের কোন কোন ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। DSM-IV-TR শ্রেণীবিন্যাসে মনোরোগের বৈশিষ্ট্যগুলোকে অধিকতর বিস্তারিত ও সুস্পষ্ট করা হয়েছে। DSM-IV-TR শ্রেণীবিন্যাসের কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নে আলোচনা করা হল।

পূর্বে নিউরোসিস ও সাইকোসিস নামের দুটো প্রধান উপবিভাগ দীর্ঘকাল যাবৎ মনোরোগের শ্রেনীবিন্যাসে দেখানো হয়েছে। কিন্তু DSM-IV-TR শ্রেণীবিন্যাসে নিউরোসিস বা সাইকোসিস নামের কোন উপবিভাগের কথা উল্লেখই নেই। পূর্বের নিউরোসিসের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন গোলযোগগুলোকে কয়েকটি শ্রেণীতে বিভক্ত করে দেখানো হয়েছে এবং সাইকোসিসের অন্তর্ভুক্ত গোলযোগেগুলোকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র মনোরোগ রূপে আলাদাভাবে দেখানো হয়েছে।

আমরা সকলে জানি যে মনরোগের সাথে ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও কৃষ্টিগত বিভিন্ন দিক ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত। একথা মাথায় রেখেই DSM-IV-TR যে কোন ব্যক্তির মনোরোগ নির্ণয়ের জন্য পাঁচটি অক্ষমাত্রা বা মাত্রাগত দিক (axis or dimension) পরিমাপের কথা বলেছে। DSM-IV-TR শ্রেণীবিন্যাসে সেসকল অক্ষমাত্রা বা মাত্রাগত দিকগুলো অধিকতর বিশদভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

মনোরোগের পাঁচটি মাত্রাগত দিক হচ্ছে:

* প্রথম মাত্রাগত দিক হচ্ছে মনোরোগের লক্ষণগত বা উপসর্গগত দিক। এক্ষেত্রে ব্যক্তির লক্ষণ বা উপসর্গসমূহ পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে মনোরোগের নির্দিষ্ট ধরন স্থির করে তার নামকরণ করা হয়; যেমন, সিজোফ্রেনিয়া, যৌন গোলযোগ, ইত্যাদি।

* দ্বিতীয় মাত্রাগত দিক হচ্ছে ব্যক্তিত্বের গোলযোগমূলক বা বিকাশমূলক দিক । বিকাশমূলক ত্রুটি রূপে মানসিক প্রতিবন্ধিতার কোন লক্ষণ বা উপসর্গ রোগীর মধ্যে আছে কি না, তা নিরূপণ করা হয় অথবা পরিণত বয়সে ব্যক্তির মধ্যে কোন ব্যক্তিত্বের গোলযোগ আছে কিনা তা মূল্যায়ন করা হয়।

* তৃতীয় মাত্রাগত দিক হচ্ছে শারীরিক স্বাস্থ্যগত দিক। ব্যক্তির শারীরিক স্বাস্থ্যগত কি ধরণের অসুবিধা রয়েছে, কতটুকু আছে, তা এখানে মূল্যায়ন এবং নিরূপণ করা হয়।

* চতুর্থ মাত্রাগত দিক হচ্ছে ব্যক্তির মনোসামাজিক ও পরিবেশগত পীড়নের দিক। মনোরোগ দেখা দেওয়ার পূর্বে বা বর্তমানে রোগী যে মনোসামাজিক ও পরিবেশগত পীড়নমূলক পরিস্থিতি সম্মুখীন হয়েছে বা হচ্ছে, তা এখানে সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়।

* পঞ্চম মাত্রাগত দিক হচ্ছে ব্যক্তির কর্ম-সক্ষমতার সামগ্রিক মূল্যায়ন এর দিক। যাকে ইংরেজীতে (Global Assessment of Functioning- সংক্ষেপে GAF) বলে। উক্ত অক্ষমাত্রায় ব্যক্তির কর্ম-সক্ষমতা বা তার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা পরিমাপ করে লিপিবদ্ধ করা হয়। এখানে রোগীর কর্ম-সক্ষমতা মূল্যায়ন করার জন্য এখানে ১০০ বিন্দুবিশিষ্ট্য একটি মানক (Scale) ব্যবহার করা হয়। একজন চিকিৎসক যাতে এ সংক্রান্ত মূল্যায়ন অধিকতর সুনির্দিষ্ট ও বস্তুনিষ্ঠভাবে করতে পারে সেজন্য মানকটিকে নিম্নোক্ত কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।


১০০—৯১: এরূপ মূল্যমান কোন ব্যক্তির উৎকৃষ্ট কর্ম-সক্ষমতার মাত্রা নির্দেশ করে। এরূপ মূল্যমান প্রাপ্ত ব্যক্তিরা তাদের জীবনের সমস্যাগুলো সফল ভাবে মোকাবেলা করতে পারে।

৯০—৮১: এরূপ মূল্যমান ব্যক্তির মোটের উপর ভাল কর্ম-সক্ষমতার মাত্রা নির্দেশ করে। এরূপ ‍মূল্যমান প্রাপ্ত ব্যক্তিরা তাদের জীবনের ছোটখাট কয়েকটি সমস্যা ব্যতিত প্রায় সকল সমস্যা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারে।

৮০—৭১: এরূপ মূল্যমান ব্যক্তির গড় পড়তা মাঝারি ধরনের কর্ম-সক্ষমতার মাত্রা নির্দেশ করে। এরূপ মূল্যমান প্রাপ্ত ব্যক্তিরা মোটামুটি পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারলেও, তাদের জীবনে কিছু অভিযোজনমূলক সমস্যা থেকে যায়।

৭০—৬১: এরূপ মূল্যমান প্রাপ্ত ব্যক্তিদের কর্ম-সক্ষমতার মাত্রা মাঝারি মানের চেয়ে কিছু নিচে থাকে। এরূপ মূল্যমান প্রাপ্ত ব্যক্তি জীবনের সাথে কিছুটা খাপ খাইয়ে চলতে পারলেও, এদের মধ্যে কিছু মৃদু ধরনের আচরণবৈকল্যের লক্ষণ দৃশ্যমান হয়।

৬০—৫১: এরূপ মূল্যমান প্রাপ্ত ব্যক্তিদের কর্ম-সক্ষমতা নিকৃষ্ট মানের হয়। এই ধরনের লোকদের কথাবার্তা, মেজাজ ও আবেগের মধ্যে কিছুটা গোলযোগ দেখা যায়।

৫০—৪১: এরূপ মূল্যমানের ব্যক্তিদের মধ্যে মনোবৈকল্যের উপসর্গ বা লক্ষন দেখা যায়। এদের মধ্যে বিভিন্ন বাতিক-বাধ্যতাধর্মী আচরণের উৎপত্তি হয় এবং এদের আবেগ ও চিন্তন প্রক্রিয়ায় সুস্পষ্ট গোলযোগ পরিদৃষ্ট হয়।

৪০—৩১: এরূপ মূল্যমানের ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর মনোবৈকল্য দেখা যায়। এদের মধ্যে বাস্তবতাবোধ নষ্ট হয়ে যায়।

৩০—২১: এরূপ মূল্যমানের ব্যক্তিদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও অলীকবীক্ষণ এর মত গুরুতর মনোবৈকল্যের উপসর্গ দেখা যায়। এদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিরোধী হয়ে পড়ে এবং এদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়।

২০—১১: এরূপ মূল্যমান প্রাপ্ত ব্যক্তিরা উন্মত্ত অবস্থায় অত্যন্ত বিপজ্জনক আচরণে লিপ্ত হতে পারে। তারা নিজেদের বা অন্যদের গুরুতর ক্ষতি সাধন করতে পারে।

১০—১: এরূপ মূল্যমান প্রাপ্ত ব্যক্তিরা সবসময় বিপজ্জনক অবস্থায় থাকে এবং এরা নিজেদের বা অন্যদের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করতে পারে।

০: ব্যক্তির কর্ম-সক্ষমতা সংক্রান্ত তথ্যের সম্পূর্ণ অভাব ঘটলে তাকে ০ মূল্যমান দেওয়া হয়।


৭। APA ২০১৩ সালে DSM-IV-TR কে পুনরায় সংশোধন করে DSM-5 প্রনয়ন করে। এই সংশোধনীতে তাঁরা মানসিক রোগের বহুমাত্রিক শ্রেণিবিভাগ সিস্টেম এবং ক্লায়েন্ট এর সামগ্রিক কাজকর্মের সক্ষমতা মূল্যায়ন স্কোর (Global Assessment of Functioning সংক্ষেপে-GAF score) এবং রোমান সংখ্যা বাতিল করেন। Global Assessment of Functioning স্কেল বা GAF স্কেলকে বাতিল করার অন্যতম কারণ হলো উক্ত স্কেলে উল্লেখ করা ধারণাসমূহ পরিষ্কার নয় এবং এই স্কেলের নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। বহুমাত্রিক এই শ্রেণিবিন্যাসটি কেন বাতিল করা হয়েছিল তার ব্যাখ্যায় তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে ধারনা করা হয় যে রোগ নির্ণয়ের জন্য কাঠামোবদ্ধ নিয়ম থাকলে হয়ত মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা রোগ শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয় যাবে। DSM-5 এ APA মানসিক রোগের শ্রেণিবিন্যাসকে DSM-IV-TR অপেক্ষা আরও সুসংগঠিত করে প্রবর্তন করে।
৮। সর্ব












Reference and Further Readings:
Abnormal Psychology: Professor Monzur Ahmed
Publisher: Gayankosh Prokashoni
Abnormal Psychology:Professors Dr. Nur Mohammad
Publisher: Prottoy Publications.

কোন মন্তব্য নেই

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.