সাংগঠনিক লক্ষ্য কি | সাংগঠনিক লক্ষ্যের বৈশিষ্ট্য | What are organizational goals? | Characteristics of organizational goals
সাংগঠনিক লক্ষ্য কি
সাংগঠনিক লক্ষ্য হল এমন কতগুলো কৌশলগত উদ্দেশ্য যা একটি সংগঠনের ব্যবস্থাপনার প্রত্যাশিত ফলাফলের রূপরেখা তৈরি এবং কর্মচারীদের প্রচেষ্টাকে গাইড করার জন্য প্রতিষ্ঠিত।
সাংগঠনিক লক্ষ্য প্রতিষ্ঠার অনেক সুবিধা রয়েছে। সেগুলো হল:
· সাংগঠনিক লক্ষ্য কর্মীদের প্রচেষ্টাকে গাইড করে,
· একটি কোম্পানির কার্যকলাপ এবং অস্তিত্বকে নির্ধারণ করে,
· কর্মক্ষমতার মান নির্ধারণ করে,
· অপ্রয়োজনীয় লক্ষ্যগুলি অনুসরণ করার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে এবং আচরণগত উদ্দীপনা হিসাবে কাজ করে।
সাংগঠনিক লক্ষ্যের বৈশিষ্ট্যঃ
সাংগঠনিক লক্ষ্য হল এমন কতগুলো কৌশলগত উদ্দেশ্য যা একটি সংগঠনের ব্যবস্থাপনার প্রত্যাশিত ফলাফলের রূপরেখা তৈরি করে এবং কর্মচারীদের প্রচেষ্টাকে গাইড করার জন্য প্রতিষ্ঠিত।
সংগঠন তাদের অগ্রগতি পরিমাপ করতে এবং যে কাজগুলিকে উন্নত করতে হবে তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করার জন্য সুনির্দিষ্ট সাংগঠনিক লক্ষ্য নির্ধারণ
করে থাকে। সাংগঠনিক লক্ষ্যের কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেগুলো হলঃ
১। নির্দিষ্টতা,
২। পরিমাপযোগ্যতা,
৩। গ্রহনযোগ্যতা,
৪। প্রাসঙ্গিকতা
৫। সময়সীমাবদ্ধতা
৬। অর্জনযোগ্যতা।
১। নির্দিষ্টতাঃ সাংগঠনিক লক্ষ্যগুলি অবশ্যই সুনির্দিষ্ট হতে হবে। এটি অবশ্যই স্পষ্টভাবে
সংজ্ঞায়িত করা উচিত যাতে প্রতিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কর্মীগন সাংগঠনিক লক্ষ্য সম্পর্কে
অবগত হতে পারে।
২। পরিমাপযোগ্যতাঃ প্রতিটি লক্ষ্য নির্ধারণে কর্মক্ষমতার বিশেষ দিকগুলি কীভাবে পরিমাপ
করা হবে সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ থাকা উচিত। এটি গুণমান এবং পরিমাণের পরিপ্রেক্ষিতে পরিমাপযোগ্য হওয়া উচিত। কেননা পরিমাপযোগ্য লক্ষ্যগুলি ব্যক্তি এবং সংগঠনের কাজের
অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে সহায়তা করে।
৩। গ্রহনযোগ্যতাঃ সংগঠনের ব্যবস্থাপকদের এমন লক্ষ্য নির্ধারন করা উচিত যাতে কর্মীদের
মধ্যে তা গ্রহনযোগ্য হয়। এজন্য লক্ষ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় উচ্চতর এবং নিম্নতর উভয়
ব্যবস্থাপনার অংশগ্রহণ এবং মতৈক্য থাকতে হবে। তবেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
৪। প্রাসঙ্গিকতাঃ সাংগঠনিক লক্ষ্য যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বা বাস্তবসম্মত হতে হবে। যাতে সংগঠনে
কর্মরত প্রত্যেকটি কর্মী যার যার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। অসাধ্য বা অবাস্তব লক্ষ্যগুলি
অতিরিক্ত ব্যয় এবং এমনকি একটি সংগঠনকে পতনের দিকে নিয়ে যায়।
৫। সময়সীমাবদ্ধতাঃ সাংগঠনিক লক্ষ্য অবশ্যই সময়সীমা দ্বারা আবদ্ধ হতে হবে। ভবিষ্যতে
লক্ষ্য অর্জনের জন্য সময়কালের স্পষ্ট অনুমান থাকতে হবে। সময় সীমাবদ্ধ সাংগঠনিক
লক্ষ্য গুলি কেবল তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয়তাগুলি সনাক্ত করতে সহায়তা করে না বরং
সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য একটি আদর্শমান হিসাবেও কাজ করে।
৬। অর্জনযোগ্যতাঃ সাংগঠনিক লক্ষ্যগুলি অবশ্যই অর্জনযোগ্য হওয়া উচিত, যদিও তা
চ্যালেঞ্জিং। সংগঠনের কর্মীগন চ্যালেঞ্জিং হওয়া সত্ত্বেও সাংগঠনিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য
কঠোর পরিশ্রম করে। তাই সাংগঠনিক লক্ষ্য কর্মীদের দক্ষতা এবং ক্ষমতার মধ্যে
থাকা উচিত।
#কোন ভূল হলে ক্ষমা করবেন।
কোন মন্তব্য নেই