Header Ads

কেস হিস্ট্রি পদ্ধতি | Case History Method



একটি কেস হিস্ট্রি মূলত একটি পৃথক ক্লায়েন্ট বা  দলের সাথে সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক তথ্য ধারণকারী একটি নথিকে বোঝায়। কেস হিস্ট্রিগুলি মনোরোগবিদ্যা, মনোবিজ্ঞান, বিকাশমূলক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্যসেবা, এবং সামাজিক কাজের ক্ষেত্রে সহ পেশাদার সংস্থাগুলির একটি বিস্তৃত পরিসর দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। নিম্নে কেস হিস্ট্রির সংজ্ঞা, কেস হিস্ট্রির মৌলিক বিষয়বস্তু এবং প্রাথমিক কেস হিস্ট্রি নথির তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ

 

কেস হিস্ট্রির সংজ্ঞাঃ

মেরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধান অনুসারে, কেস হিস্ট্রি হল এমন রেকর্ড বা নথি যাতে ক্লায়েন্টদের অতিতের ঘটনাবলি এবং পরিষেবার ইতিহাস সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক তথ্য থাকে। ”

 

কলিন্স ইংরেজী অভিধান কেস হিস্ট্রির সংজ্ঞা অনেকটা মেরিয়াম-ওয়েবস্টার এর অনুরূপ সংজ্ঞা প্রদান করে। এই অভিধান অনুসারে “কেস হিস্ট্রি হচ্ছে ক্লায়েন্টদের অতীতের ঘটনা বা সমস্যার রেকর্ড যা তাকে প্রভাবিত করেছে।”

কেস হিস্ট্রির মৌলিক বিষয়বস্তুঃ

রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা বা গবেষকের উপর নির্ভর করে কেস হিস্ট্রিতে থাকা তথ্যের ধরনের কিছুটা পরিবর্ত হতে পারে। তবে তাতে ক্লায়েন্টের পরিষেবার ইতিহাস, ক্লায়েন্ট তদন্ত বা ক্লায়েন্ট জড়িত কাউন্সেলিং সেশনের মতো বিষয়গুলির সাথে সম্পর্কিত আরও গভীর তথ্যের প্রয়োজন হতে পারে। খেয়াল দেখা যায় যে কিছু সাধারণ ধরনের তথ্য প্রায়শই কেস হিস্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়:

 

·        মৌলিক পরিসংখ্যানগত তথ্য (যেমন, ক্লায়েন্টের নাম, বয়স, লিঙ্গ, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পেশা, বৈবাহিক অবস্থা, এবং ক্লায়েন্ট আইডি নম্বর)

·        ক্লায়েন্টের পরিষেবার ইতিহাস

·        ক্লায়েন্ট এর অবস্থা সংক্রান্ত তদন্ত

·        তদন্ত ফলাফল

·        অতীত এবং বর্তমান চিকিৎসা অথবা কাউন্সেলিং সেশন

·        রোগের ইতিহাস

·        অভিযোগের ইতিহাস এবং তার সমাধান

·        রেফারেল ইতিহাস

তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত সাধারণ পদ্ধতি

প্রাথমিকভাবে কেস হিস্ট্রি জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে মূলত তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যথাঃ

·        সাক্ষাতকার পদ্ধতি

·        প্রশ্নাবলী পদ্ধতি

·        সংমিশ্রণ পদ্ধতি

এই পদ্ধতিগুলির প্রতিটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে দেওয়া হল।

 

সাক্ষাতকারঃ প্রথমে গবেষকগণ  সাক্ষাতকারের মাধ্যমে তাদের ক্লায়েন্টদের উদ্বেগ এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। ক্লায়েন্টগন পূর্বে কখনো মনোবৈজ্ঞানিক পরিষেবা গ্রহন করেছে কিনা, যদি করে থাকে সে সম্পর্কিত তথ্য তাদের কেস হিস্টোরিতে যুক্ত করার জন্য সেই তথ্যগুলি প্রকাশ করতে তাদের ৎসাহিত করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষককে অনেক অভিজ্ঞ হতে হয়। গবেষক অনেক সময় ক্লায়েন্টকে নানা প্রশ্নের ব্যাখ্যা করে দিতে হয়।

প্রশ্নাবলীঃ প্রমিত প্রশ্নাবলী প্রণয়ন করে ঐ একই প্রশ্ন মুখোমুখি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করে অথবা লিখে উত্তর প্রদানের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যেসব গবেষকদের ক্লায়েন্টদের সাথে বসতে এবং কথোপকথন করার জন্য পর্যাপ্ত সময় আছে তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি দুর্দান্ত। তবে এই পদ্ধতির অসুবিধা হল যে ব্যক্তির কিছু সমস্যা উপেক্ষিত থেকে যায়।

সংমিশ্রণঃ সাক্ষাতকার ও প্রশ্নাবলী এই দুটি পদ্ধতির সংমিশ্রণ সম্ভবত কেস হিস্ট্রির জন্য ডেটা সংগ্রহ করার সর্বোত্তম উপায়। যখন গবেষকগণ সংমিশ্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে, তখন ক্লায়েন্টগন তাদের ইতিহাস সম্পূর্ণরূপে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয় এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উপেক্ষা করার সম্ভাবনা কম থাকে।

সম্পূর্ণ কেস হিস্ট্রি বজায় রাখা ক্লায়েন্টদের মানসম্পন্ন পরিষেবা প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। একটি সম্পূর্ণ কেস হিস্ট্রি বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংস্থাগুলিকে বর্তমানে বা ভবিষ্যতে ক্লায়েন্টদের পরিষেবা দেওয়ার সর্বোত্তম উপায় নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে।

***ভূল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.