Header Ads

আইনুদ্দিন আল আজাদ (রহ) এর জীবনী | Biography of Ainuddin Al Azad (R)


হাজারো অনিন্দ্য সুন্দর সুরের কারিগর এবং বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি ইসলামী সংগীত শিল্লী যাঁর নাম আইনুদ্দীন আল আজাদ (রহ)। তাঁর সুর ও সংগীত লাখো মানুষের হৃদয়ে আজ বেঁচে থাকলেও তবে তিনি আজ পৃথিবীর বুকে নেই।



আইনুদ্দীন আল আজাদ (রহ) এঁর সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ পুরো নামঃ আইনুদ্দীন আল আজাদ, ডাকনামঃ আজাদ, পিতাঃ জনাব মোঃ শমসের আলী, মাতাঃ নবিরুন নেসা, জন্মঃ ১লা মার্চ ১৯৭৭, ধর্মঃ ইসলাম, জন্মস্থানঃ কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ,বাংলাদেশ, জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী, নাগরিকত্বঃ বাংলাদেশী, পেশাঃ ইসলামিক স্কলার, উচ্চতাঃ ৬.১ ইঞ্চি, চুলের রঙঃ কালো, সন্তানঃ ছেলে (আসাদুল্লাহ গালিব), মেয়ে (তুফফা আজাদ রুহি), মৃত্যুঃ ১৮ জুন শুক্রবার ২০১০

জন্মঃ আইনুদ্দীন আল আজাদ ১৯৭৭ সালের ১লা মার্চ ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার হাজরা তলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা জনাব মুহাম্মদ শমসের আলী ও মাতা নবীরুন নেসা। আট ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চমতম।



শৈশব কালঃ মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য অনেক সময় ছোট বেলাতেই প্রকাশ পায়। এ কথাটিও ঠিক তেমনি আইনুদ্দীন আল আজাদ (রহ) এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গ্রামের বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেনীতে পরা অবস্থায় একদিন একটি সংগীত প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেন। সেখানে তিনি কাজী নজরুল ইসলামের ‘ত্রি ভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ’ গানটি গেয়ে পুরস্কার লাভ করেন। এটিই ছিল তার জীবনের প্রথম পরিবেশনা। তারপর থেকে তিনি গ্রামের বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলগুলোতে সংগীত পরিবেশন করে মানুষের অন্তর প্রশান্ত করতেন। তখন থেকেই ইসলামী সংগীত ও সংগীতের আগামী নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন।



শিক্ষা জীবনঃ গ্রামের একটি বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। এরপর ভর্তি হন ঝিনাইদহ উত্তর কাষ্টসাগর দাখিল মাদরাসায়। ১৯৯১ সালে দাখিল পাস করেন উক্ত মাদ্রাসা থেকে। এরপর ১৯৯৩ সালে ছারছিনা দারুস সুন্নাহ আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন। মাদ্রাসা ধাঁচের শিক্ষার পাশাপাশি তিনি ১৯৯৫ সালে ঝিনাইদহ সরকারী কে সি সরকারী কলেজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলায় অনার্স পাস করেন। মাগুরা সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৬ সালে ফাজিল এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ২০০২ সালে কামিল পাস করেন।



কর্মজীবনঃ কর্ম জীবনে তিনি ইসলামী রাজনীতির সাথে বিশেষ ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিশ্বব্যাপী অপসংস্কৃতির প্রভাব ও মানুষের অবক্ষয় রোধে কাজ শুরু করেন। অসভ্য নাচ, গান বাজনার মোকাবেলায় তিনি ইসলাম সমর্থিত উপায়ে সঙ্গীত পরিবেশন করতে শুরু করেন। পাশাপাশি ওয়াজ-নসীহত, বক্তৃতা ইত্যাদি করতে থাকেন। এছাড়া বইয়ৈুর প্রচ্ছদ ও গ্রাফিক্স ডিজাইনের মত বিভিন্ন সৃষ্টিশীল কাজও করতেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী সঙ্গীতের প্লাটফর্ম “কলবর” তাঁরই প্রতিষ্ঠা করা। কলরবে বর্তমানে সংগীতের সকল ধারার সংগীত ইসলাম সমর্থিত উপায়েই পরিবেশন করা হয়।



আখলাক ও আমলঃ সালাত সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত যত্নবান ছিলেন। বিভিন্ন কারণে তাঁকে অনেক সময় সফরে থাকতে হত। তথাপিও তিনি সালাত যাতে কাজা না হয় সে দিকে যথেষ্ঠ খেয়াল রাখতেন। তিনি সবসময় হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন। তিনি যে কোন কাউকেই সহজেই আপন করে নিতেন। কাউকে কোন সমস্যায় পরতে দেখলে তিনি তাঁর সাধ্যমত সহযোগীতা করতেন।

মহৎকর্মঃ মুসলমানদেরকে বেহায়াপনার এই যুগে অসভ্য নাচ-গান থেকে ফিরিয়ে মার্জিত ও ইসলাম সমর্থিত ইসলামীক সংগীতের ছায়াতলে নিয়ে এসেছেন।

অন্যান্য তথ্যঃ ইসলামি সংগীত নিয়ে আইনুদ্দিন আল আজাদ (রহ) এঁর ২৭ টি অ্যালবাম বের হয়েছিন। তার মধ্যে শিক্ষিত শয়তান, যায় যদি যাক প্রাণ, নাংগা তলোয়ার ইত্যাদি। তবে আমার তাঁর গাওয়া একটি গান সবচেয়ে প্রিয়। সেটি হচ্ছে “আমার জীবন আমার মরন আমার জীন্দেগী”



সংক্ষেপে আইনুদ্দিন আল আজাদ (রহ) এর জীবনীঃ

পুরো নামঃ আইনুদ্দীন আল আজাদ,

ডাকনামঃ আজাদ,

পিতাঃ জনাব মোঃ শমসের আলী,

মাতাঃ নবিরুন নেসা,

জন্মঃ ১লা মার্চ ১৯৭৭,

ধর্মঃ ইসলাম,

জন্মস্থানঃ কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ,বাংলাদেশ,

জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী,

নাগরিকত্বঃ বাংলাদেশী,

পেশাঃ ইসলামিক স্কলার,

উচ্চতাঃ ৬.১ ইঞ্চি,

চুলের রঙঃ কালো,

সন্তানঃ ছেলে (আসাদুল্লাহ গালিব), মেয়ে (তুফফা আজাদ রুহি),

মৃত্যুঃ ১৮ জুন শুক্রবার ২০১০




**** সম্মানিক পাঠকবৃন্দ এখানে আইনুদ্দিন আল আজাদ (রহ) এর সম্পর্কে খুব বেশি করতে পারিনি। কোন ভূল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা করে দিন। তাঁর কপিরাইট ফ্রি ছবি পাওয়া যায়নি। এজন্য দিতে পারিনি।








1 টি মন্তব্য:

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.